স্টাফ রিপোর্টার
ফেনীতে আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলাটি পুনঃতদন্তে দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নুসরাতের নিজ গ্রাম চট্টগ্রাম সমাজের লোকজন। শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সোনাগাজী উপজেলা শহরের জিরো পয়েন্টে মাদ্রাসার সামনে কয়েক হাজার বাসিন্দা ও স্থানীয় এলাকাবাসীর অংশ গ্রহনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়।
নুসরাতের নিজ গ্রাম চট্টগ্রাম সমাজের উদ্যেগে ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সামছুল আরেফিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ দীন মোহাম্মদ, উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহ জাহান, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের ভাই নুর হোসেন, আফসার উদ্দিনের স্ত্রী সুরাইয়া আফসার ইফাত, জাবেদ হোসেনের বাবা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্যাহ, উম্মে সুলতানা পপির মা হোসনে আরা বেগম, মাকসুদ আলমের ছেলে মো. বিজয় ও শাহাদাত হোসেন শামিমের মা বিবি ফাতেমা ও তার প্রতিবেশী নিশাদ ভুঞা এবং মহিউদ্দিন শাকিলের মামি রুমি বেগম।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহনকারী চট্টগ্রাম সমাজের বাসিন্দারা বলেন, নুসরাতের মৃত্যুর পর ঘটনাটি হত্যাকান্ড হিসেবে ধরে নিয়ে অভিযুক্তদের বিচারের দাবীতে আামরা সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রতিবাদ করি। আমাদের প্রতিবাদের সুযোগের অপব্যবহার করে পিবিআই নাটক সাজিয়ে নিরাপরাধদের ফাসিয়ে দেয়। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ ও এসএমএস গায়েবের ঘটনা প্রকাশ হলে আমরা বুঝতে পারি পিবিআই নাটক বানিয়ে নুসরাতের আত্মহত্যাকে হত্যায় রুপান্তর করেছে। তাই গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে নুসরাতের মামলাটি পুন:তদন্ত করে নিরাপরাধদের মুক্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিনয় অনুরোধ করছি।
২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান। এ হত্যাকা-ে সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ মামলার রায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়। বর্তমানে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের আপীলের প্রেক্ষিতে মামলাটি হাইকোর্টে আপীল শুনানীর জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » ফরহাদনগরে ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিনের ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পথে ঘুরছে বৃদ্ধা দুই অসহায় বোন
- » দাগনভূঞায় ভারতীয় নাগরিকের নামে ভূয়া দলিল তৈরি করে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনীর সোনাগাজীতে জেলা শিবিরের আয়োজনে জুলাই শহীদ স্মৃতি আন্ত: থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট
- » ফেনীর পাঁচগাছিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার, এলাকায় শোকের ছায়া
- » চার যুবকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- » ফেনীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশ কোয়ার্টারে ভবন নির্মাণ: সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ
- » ফেনীতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: পাওনাদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিমান দত্ত
- » ফেনীতে অপহরণ ছিনতাই ও ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার-৫
- » কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতীপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে শিক্ষক পরিবারের ঘরে আগুন
- » ফুলগাজীর মাদক-কারবারিকে নিয়ে সংবাদ করায় দৈনিক ফেনীর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা